গাজীপুর-৩ আসনে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ডাঃ বাচ্চু’র

আসিফ হোসাইন,গাজীপুর

গাজীপুর টাইমসঃ আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে গাজীপুরের সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় একক আধিপত্য বিস্তার ছিলো আওয়ামীলীগের। এছাড়া বিগত বিএনপি সরকার এর আমলেও আওয়ামীলীগের থেকে গাজীপুর-৩ আসনটি নিতে পারেনি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা।

আওয়ামীলীগের ভয়ে তটস্থ থাকতো বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। তবে এবার পরিবর্তনের হাওয়া বইছে এই আসনে। ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলে গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবতীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গত ৫ই আগস্টের পর থেকে সারা বাংলাদেশে বিএনপির বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ শোনা গেলেও ব্যতিক্রম ছিলেন তিনি।

অধ্যাপক ডাঃ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ছবিঃ গাজীপুর টাইমস

তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। একটি সূত্র বলছে, পেশায় ডাক্তার হওয়াতে তার জনপ্রিয়তা আগে থেকেই ছিলো। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হলে এবং বিএনপি নির্বাচনে গেলে আরও আগেই তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতো বলে দাবী গাজীপুর ৩ আসনের জনগণের।

সূত্র বলছে, তার আসনের গরীব, অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন তিনি।

তার বাড়ির পাশেই মতি মিয়ার চায়ের দোকান। মতি মিয়া বলেন, বাচ্চু ভাইকে দলমত নির্বিশেষে সবাই ভালোবাসে। আমার বড় বোন একবার প্রচুর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়বেটিস বেড়ে ২২ হয়ে যায়। আমি তড়িঘড়ি করে আপাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাই। শুক্রবার থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে চায় না। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হঠাৎ বাচ্চু ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। সাথে সাথে ভাইকে ফোন দেই। তিনি কল ধরেননি। ২ মিনিট পর তিনি কল ব্যাক করলেন। বললেন, মতি মিয়া বলো। তখন আমি অভিমান থেকে বলি, আগে কন, আমার কল ধরেন নাই ক্যান? তখন ভাই বললো, ম্যাডামের সাথে মিটিংয়ে ছিলাম। বের হয়েই তোমাকে আগে ফোন দিছি। বলো, কি দরকার? তখন আমি আপার অসুস্থতা আর ভর্তি নিচ্ছে না সেটা জানালে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করিয়ে দেন।
মতি মিয়া আরও বলেন, শুধু আমি না। এই এলাকার সবার বিপদেই বাচ্চু ভাই তার সর্বোচ্চটা দিয়ে পাশে থাকেন। তিনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় মানবিক ডাক্তার।

গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় পরিচ্ছন্ন এই রাজনীতিবিদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে ব্যাপক হারে। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। তিনি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর ফলে একদিকে তার জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে এই আসনে নিজের প্রস্তুতিও ঝালিয়ে নিচ্ছেন।

Share your love